বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছে। এই সমস্যা দূর করার জন্য অধিক হারে সবজি চাষ করা প্রয়োজন। বর্তমানে উৎপাদিত সবজি দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২০% সরবরাহ করতে পারে। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন টমেটো এক অন্যতম সবজি। এই গ্রীষ্মকালীন টমেটো এক মানুষের মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার পুষ্টিমানের জন্য। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর যশোর, বাঘারপাড়া, রায়পুর এর উদ্যেগে ১৯৯৬ সালে আজমপুর ও সিলুমপুর গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষের যাত্রা শুরু হয়। উপসহকারী কৃষি অফিসারদের নিরলস পরিশ্রমে ২ জন চাষী থেকে আজ তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জন। বর্থমানে রায়পুর ইউনিয়নে ৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ হচ্ছে। এই চাষের উৎস ধরে বর্তমানে যশোর জেলা সহ খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় চাষাবাদ হচ্ছে। প্রতিদিন অত্র উপজেলা হতে ১-২ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি বিভাগ যেমন- ঢাকা, চট্রগ্রাম, রংপুর, সিলেট, খুলনা ইত্যাদি সহ বিভিন্নজেলার শপিংমহলে বিক্রয় হচ্ছে।
কৃষকরা প্রতি কেজি টমেটো ৪০-৫০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করছে। প্রতি শতকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ হয় ছয় থেকে সাত হাজাার টাকা। এই টমেটো বিক্রয় করে আয় আসে চৌদ্দ হাজার টাকা। প্রতি শতকে নীট লাভ প্রায় সাত হাজার টাকা। এই চাষাবাদের ফলে একদিকে যেমন খাদ্য ও পুষ্টির যোগান হচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে বেকার- কৃষিশ্রমিকরা তাদের আয়ের উৎস খুঁজে পাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস